২৩২ কেভি গ্রিড লাইনের ত্রুটিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন এক ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় সাতটি জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী। গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে আশুগঞ্জ-ঘোড়াশাল গ্রিড লাইনের আশুগঞ্জ সাবস্টেশনে সমস্যা দেখা দিলে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ‘ট্রিপ’ করে। আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাজ্জাদুর রহমানকে উদ্ধৃত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিসি হায়াত-উদ-দৌলা খান সাংবাদিকদের জানান, আশুগঞ্জ-ঘোড়াশাল ২৩২ কেভি গ্রিডলাইনে ত্রুটির কারণে বেশ কয়েকটি জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। পাশাপাশি আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। সমস্যা চিহ্নিত করে কারখানার প্রকৌশলীরা কাজ করছেন। অল্প সময়ের মধ্যে সব জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলেও জানান তিনি।
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের এক সূত্র জানায়, সন্ধ্যায় হঠাৎ করে আশুগঞ্জ-ঘোড়াশাল ২৩২ কেভি গ্রিড লাইনের আশুগঞ্জ সাবস্টেশনে ত্রুটি দেখা দেয়। এতে করে ২৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি কেন্দ্র তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে হবিগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদীসহ কয়েকটি জেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
পিজিসিবির জনসংযোগ শাখার কর্মকর্তা বদরুদ্দোজা সুমন দৈনিক খোয়াইকে জানান, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনের একটি ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে যাওয়ার কারণে ওই স্টেশন থেকে প্রায় আড়াইশ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কম আসতে থাকে। ফলে তাৎক্ষণিকভাবে এর চাপ গিয়ে পড়ে ফেঞ্চুগঞ্জ – শ্রীমঙ্গল গ্রিড লাইনে। ওভার লোডের কারণে ওই লাইনটি ট্রিপ করে যায়। এতে করে ওই অঞ্চলের কয়েকটি জেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মুজিব জানান, হঠাৎ করেই সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে জাতীয় গ্রীডে সমস্যা দেখা দেওয়ায় হবিগঞ্জ জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ৩ ঘন্টার চেষ্টায় রাত ১০টার দিকে পুনরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। ভোল্টেজ উঠানামার বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, জাতীয় গ্রীডে কিছু সমস্যা হওয়ায় এ ধরণের বিপত্তি দেখা দেয়। ভোল্টেজ উঠানামা নিয়ে গ্রাহকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এতে করে ফ্রিজ, এসিসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান তারা।