হবিগন্জের বানিয়াচংয়ে প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে মুক্তিপণ দিতে হল আজমিরীগঞ্জের এক যুবককে। রাতভর পুলিশি অভিযানে ৪ অপহরণকারী গ্রেফতার হলেও পলাতক রয়েছে চক্রটির মূল নায়িকা। নাটকীয় এ ঘটনায় আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। প্রতারক সাথীকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, আজমিরীগঞ্জ পৌরসভার শরীফনগর গ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে বিক্রয় প্রতিনিধি আনিসুর রহমান রাম্মির প্রেমের সম্পর্ক ছিল বানিয়াচং উপজেলার সাগরদিঘীর দক্ষিণ পাড় গ্রামের ছমেদ মিয়ার মেয়ে মেঘনা আক্তার সুজনা সাথী এর সাথে। মোবাইল ফোনে প্রেমের এক পর্যায়ে তাদের মাঝে দেখা করার কথা হয়। গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় সাথীর কথামতো নতুন বাজার সংলগ্ন ৪নং ইউনিয়ন পরিষদের পার্শ্ববর্তী স্থানে আসেন রাম্মি। এ সময় ৫/৬ জন তাকে অপহরণ করে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে রাম্মির বাবার নিকট মুক্তিপণ দাবি করে চক্রটি।
ছেলেকে ফিরে পেতে ২০ হাজার টাকা বিকাশে পাঠান ভিকটিমের বাবা। পরে আরো টাকা দাবি করলে তিনি স্মরণাপন্ন হন আজমিরীগঞ্জ থানা পুলিশের। সেখান থেকে জানানো হয় বানিয়াচং থানায়। এক পর্যায় রাতভর অভিযান চালিয়ে ৪নং ইউনিয়ন পরিষদের পার্শ্ববর্তী একটি বসতবাড়ি থেকে জিম্মি অবস্থা থেকে রাম্মিকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় ৪ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করলেও সটকে পড়ে ঘটনার নায়িকা সাথীসহ আরো দুইজন।
আটক চারজন হলো- জাতুকর্ণপাড়া (মাইজের মহল্লা) গ্রামের মৃত মোক্তাদির হোসেনের ছেলে মনির হোসেন একই এলাকার ধনু মিয়ার ছেলে আলমগীর মিয়া , যাত্রাপাশা (কান্দিপাড়া) গ্রামের আশাদুল মিয়ার ছেলে হেলাল মিয়া ও সালাউদ্দিনের ছেলে জাহেদ মিয়া । অভিযানে নেতৃত্ব দেন বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোঃ সেলিম মিয়া এবং বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এমরান হোসেন।
পুলিশ জানায়, বিকাশ নাম্বারের সূত্রধরে অপহরণকারী চক্রকে গ্রেফতারের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অপহরণের শিকার যুবকের বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বাকী আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। অভিযানকালে ৪ হাজার টাকা ও দুইটি মোবাইল জব্দ করা হয়।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এমরান হোসেন জানান, সাথী নামক মেয়েটির বিরুদ্ধে পূর্বেও প্রেমের নাম করে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।