দেরীতে হলেও বাংলাদেশ সরকার যুগান্তকারী পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে।তা হচ্ছে দেশে যত অবৈধ মোবাইল সংযগ আছে,তা বন্ধ করা।এতে সমাজে চলমান অনেক অপরাধ তথা অবক্ষয় কমবে বলেই অনেক বিশেষজ্ঞের ধারনা।এখন এটা বাস্তবায়ন করা সময়ের দাবী।
বন্ধ
হয়ে যাচ্ছে অবৈধভাবে আমদানি করা প্রায় তিন কোটি হ্যান্ডসেট। নকল বা ক্লোন আইএমইআই (IMEI) বা (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) সম্বলিত এসব হ্যান্ডসেট চলতি বছরের মধ্যে নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এই সতর্কতা দিয়ে অবৈধ হ্যান্ডসেট না কিনতে গ্রাহকদের অনুরোধ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
গত বছরের ১ আগস্ট থেকে যেসব নকল বা ক্লোন আইএমইআই সম্বলিত ও অবৈধভাবে আমদানি করা মোবাইল হ্যান্ডসেট মোবাইল নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছে সেগুলো অচিরেই স্থাপিতব্য ন্যাশনাল ইক্যুপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) এর মাধ্যমে নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি। নতুন এ নির্দেশনা জারি করে কমিশন।
বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল মোহম্মদ ফয়সল স্বাক্ষরিত আদেশে এ কথা জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত বছর ২৯ জুলাই ২০১৯ তারিখে বিটিআরসি থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট ক্রয়ের পূর্বে সেটটির বৈধতা আইএমইএ-এর মাধ্যমে যাচাই করে ক্রয় করা এবং বিক্রেতার নিকট থেকে ক্রয় রশিদ গ্রহণপূর্বক তা সংরক্ষণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। সংশ্লিষ্ট সকলকে মোবাইল হ্যান্ডসেট ক্রয়/বিক্রয় এর ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য পুনরায় অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা যাচাইয়ের পদ্ধতি____________
মোবাইল ফোনের কেনার সময় মেসেজ অপশনে গিয়ে KYD<space> ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর লিখে ১৬০০২ নাম্বারে পাঠাতে হবে। মোবাইল ফোনের বক্সে বা প্যাকেটে প্রিন্টেড স্টিকার থেকে অথবা *#০৬# ডায়াল করে হ্যান্ডসেটের আইএমইআই জানা যায়।
অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট বন্ধ করতে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) প্রযুক্তি সরবরাহ ও পরিচালনার জন্য দরপত্র আহ্বান করে বিটিআরসি। ২০১২ সালে বিটিআরসি এ উদ্যোগ নেওয়ার প্রায় ৮ বছর পর এ প্রযুক্তি বাস্তবায়নে দরপত্র আহ্বান করে।
বিটিআরসি জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়া শুরু হলে অবৈধ হ্যান্ডসেটে প্রাথমিকভাবে নির্দিষ্ট একটি সিম ছাড়া অন্য কোনো সিম কাজ করবে না। নির্দিষ্ট সময় পর কোনো সিমই কাজ করবে না। ফলে গ্রাহকরা বাধ্য হয়েই নকল বা অবৈধ হ্যান্ডসেট ব্যবহার বন্ধ করবেন।
সরকারি কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও ব্যবসায়ীদের হিসাবে, দেশে বর্তমানে প্রায় তিন কোটি অবৈধ হ্যান্ডসেট রয়েছে।
এই অবৈধ মোবাইলসেট গুলো রপ্তানী ও দেশে মার্কেটিং বন্ধ করতে পারলে,দেশের প্রযুক্তি বাজার সমৃদ্ধ হবে।দেশের অপরাধ প্রবৃত্তি অনেকটায় কমে আসবে।
আপনার ফোনটি বৈধ কিনা আজই যাচায় করুন।