সাতক্ষীরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ প্রায় ১৭ বছর ইনস্ট্রাক্টর এবং প্রমোশনে চিফ ইনস্ট্রাক্টর

116
সাতক্ষীরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ প্রায় ১৭ বছর ইনস্ট্রাক্টর
সাতক্ষীরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ প্রায় ১৭ বছর ইনস্ট্রাক্টর

সাতক্ষীরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ প্রায় ১৭ বছর ইনস্ট্রাক্টর এবং প্রমোশনে চিফ ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে ০৫/০৭/২০২৩ অপরাহ্নে অফিসিয়ালি দায়িত্বভার হস্তান্তর করে ১৯/০৭/২০২৩ পূর্ণ বিদায় নিয়ে বগুড়ার উদ্দেশ্য যাচ্ছি।৷ গত ১২ এপ্রিল ২০০৭-এই জেলায় এসেছিলাম। চাকুরির সুবাদেই এই জেলায় প্রথম আসা। সবার মুখের গল্প শুনে মনের কোনে একটা ভয় ছিল। এই ভয়ের জন্য এখানে এসেই যোগদানের পর চলে যাব চিন্তা করে ছিলাম কিন্তু নতুন হিসেবে যোগদানের পর সাতক্ষীরার চারপাশ ঘুরেছি, খাল, নদী, প্রকৃতিকে আপন করে নেয়ার চেষ্টা করেছি প্রকৃতি ও আপন করে নিয়েছিলো বিশেষ করে এখানকার মাছ যা আমি যোগদান না করলে জানা বা খাওয়া হতো না শুকরিয়া মহান আল্লাহ কাছে।

এখানে যোগদানের পর অনেক সহকর্মী ও অধ্যক্ষ পেয়েছি যাদের ভালোবাসায় এই সাতক্ষীরাকে আপন হিসেবে বরণ করে নেওয়ায় সাহস পেয়েছি, পেয়েছি নতুন কাজের প্রেরনা। সকলের প্রতি চির কৃতজ্ঞ। এসেছিলাম ভয় নিয়ে, যাচ্ছি ভক্ত হয়ে। এটাই প্রাপ্তি । এই অবস্থান কালে বেশ কিছু মানুষ সাথে আমার কিছুটা সখ্যতা গড়ে উঠেছিল। তাদের সাথে মিশেছি প্রাণখুলে, গল্প করেছি , আড্ডা দিয়েছি, সহযোগিতা ও পরামর্শও পেয়েছি অনেক। আপনাদের পরামর্শ, নৈতিক সাহস, অনুপ্রেরনা আমার কাজকে সহজ করেছে। আপনাদের কাছে আমি ঋনী। সচিব ও ডিজি মহোদয়ের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আমার প্রিয় সহকর্মীগনের সহযোগিতার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। এই চলে যাওয়া সময় ভাবছি কি করে গেলাম। কিছু কি করতে পারলাম । আছে কি কোন সাফল্য ? স্মৃতির হাতরিয়ে তা বলতে পারছি না তবে মনে গভীরে কিছু ইতিবাচক সংখ্যাক্রমও আছে । মনে হচ্ছে আরও অনেক কিছু করার দরকার ছিল। এ সীমাবদ্ধতা একান্ত আমার । তবে এতটুকু বলতে চাই দায়িত্ব পালনে আমি পক্ষপাতহীন থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। তবুও আমি মানুষ, মানুষ হিসেবে ভুলত্রুটি থাকাই স্বাভাবিক। আমার কোন কাজ, কথা বা আচরন আপনাদের বিরক্তি, কষ্ট বা ক্ষোভের কারন হলে দুঃখ প্রকাশ করছি। আপনারা ভাল থাকবেন, আমার জন্য দোআ করবেন। সকলের দোয়া ও ভালবাসায় থাকতে চাই।