সাবেক ইউপি সদস্য রুক্কু মিয়া (৫৫) ও তার পরিবারের লোকজনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের ।
গত ২৭ মার্চ ,শুক্রবার সন্ধ্যায় রুক্কু মিয়ার ছেলে চট্টগ্রাম থেকে এসে নজরুল ইসলামকে বেপরোয়া ভাবে চলাচল করা শুরু করে । তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে পরামর্শ দেন উপজেলা কাজিয়াতল গ্রামের মোসলেম সরকারের ছেলে ইকবাল হোসেন (২৪) । নজরুল ইসলাম ও ইকবাল হোসেনের মধ্যে এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় । নজরুল ইসলাম তার বাবা রুক্কু মিয়াকে ঘটনাটি জানায় । এতে রুক্কু মিয়া ক্ষুব্ধ হয়ে তার তিন ভাই, দুই ছেলেসহ আরো কয়েজন লোক নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান বিএসসির সামনে ইকবাল হোসেনকে বেধরক মারধর করে এবং তার ছেলে নজরুল ইসলাম কে হুকুম দেয় ইকবাল হোসেনকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার ।ইকবালের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন আসলে তারা চলে যায়।
চেয়ারম্যান শাহজাহান বিএসসি বলেন, ঘটনাটি আমার সামনেই হয়েছে। আমি সামনে থেকেও কিছু করতে পারিনি কারন রুক্কু মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন যথেষ্ট বেপরোয়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাজিয়াতল গ্রামে মেয়ে বিয়ে, দালান নির্মাণ, যে কোন শালিস, জমি কেনা বেচা থেকে শুরু করে সকল কাজে ওই ইউপি সদস্য রুক্কু মিয়া ও তার পরিবারের লোকজনকে টাকা দিয়ে খুশি না করলে তাদের অত্যাচারে দিশেহারা হতে হয় ওই পরিবারের লোকজনকে।
গত কিছু দিন আগে একই গ্রামের প্রবাসী শফিক মিয়ার মেয়েকে পাত্র পক্ষের লোকজন দেখতে আসে । এতে রুক্কু মিয়া শফিকের স্ত্রীর কাছে ৮০ হাজার টাকা দাবি করেন। প্রবাসীর স্ত্রী টাকা দিতে অস্বীকার করলে রুক্কু মিয়া পাত্র পক্ষের লোকজনকে অপমান করে বাড়ী থেকে বের করে দেয় । এরপর শফিকের চলাচলের রাস্তায় কাঁটা দিয়ে বেড়া দেয়। উপায় না দেখে প্রবাসীর স্ত্রী মুরাদনগর থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরদিন রাতে প্রবাসীর বাড়ীর পাশে আগুন লাগিয়ে দেয় রুক্কু মিয়ার লোকজন। পরে প্রবাসীর স্ত্রীকে নানা ভাবে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নাম মাত্র আপোষ করে ।
মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মনজুর আলম বলেন, ইকবাল হোসেনের অভিযোগের ভিত্তিতে সাবেক ইউপি সদস্য রুক্কু মিয়াকে আটক করা হয় । রবিবার দুপুরে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে ।