পুলিশ জনগণের বন্ধু, প্রচলিত কথাটি বর্তমান সময়ে বাস্তবতায় পরিণত হয়েছে। পুলিশের প্রত্যেক সদস্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। পুলিশ বাহিনীর কর্মতৎপরতা, মহানুভবতা, কঠিন এই বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়া, প্রতিটি নাগরিককে সুরক্ষা দিতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া অবশ্যই প্রশংসনীয়।
জাতির পিতার জন্মশতবর্ষে পুলিশ সপ্তাহের এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘মুজিববর্ষে অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার’। এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, পুলিশকে জনতার হতে হবে। জনগণ যেন আস্থা পায়, বিশ্বাস পায়, পুলিশের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে পারে। সেই কাজটি করতে হবে। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের সংকটকালে হবিগঞ্জের পুলিশ এখন জনতার পুলিশের ভূমিকায় কাজ করে যাচ্ছে। এবার করোনা যুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। আপনি ঘরে থাকুন, সচেতন থাকুন। নিজে বাঁচুন, পরিবারকে বাঁচান। দেশকে বাঁচান। এই স্লোগান সামনে রেখে মাইক হাতে নিয়ে শহরের অলিগলি, গ্রামের পাড়া-মহল্লা, হাটবাজারসহ সমগ্রজেলার মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করে যাচ্ছে পুলিশ। নিজের জীবন বা পরিবারের কথা চিন্তা না করে দিনরাত রাস্তায় থেকে কাজ করে যাচ্ছে। জনসাধারণের শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করা, হাজার মানুষের হোমকোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা, বিভিন্ন স্থানে অবস্থানকারী জনগণকে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া এগুলো জনতার পুলিশের উদাহরণ।
মানুষ কোনো রোগে আক্রান্ত হলে সেবা দেবে ডাক্তার, নার্সসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা এটাই চিরাচরিত প্রথা। করোনা ভাইরাসের যেহেতু প্রতিষেধক তৈরি হয়নি, তাই প্রতিরোধই একমাত্র মুক্তি। প্রতিরোধ কার্যক্রম নিশ্চিত করার দায়িত্ব পড়ে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর। মাঠ পর্যায়ে পুলিশ কাজ করে বলে তাদেরই মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি পুলিশ বাহিনীর কাছে এনে দিয়েছে ভিন্ন এক বাস্তবতা। করোনা ভাইরাসের মহামারিতে সম্পূর্ণ এক নতুন রূপে আমাদের মাঝে হাজির হয়েছে হবিগঞ্জের পুলিশ। সমস্যা সমাধানে সবার আগে এগিয়ে আসছে পুলিশ সদস্যরা। বর্তমান সময়ে পুলিশের ভূমিকা তাদেরকে জনগণের মাঝে আস্থার সংকট দূর করে, শ্রদ্ধা ও সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত করবে।