এটেনশন!! করোনা’র নয়া লক্ষণ।

প্রচলিত লক্ষণ ছাড়াও নতুন এক লক্ষনের কথা জানাবো।যা এতদিন আমরা ভাবতেও পারিনি।

440
আক্রান্ত চোখ
আক্রান্ত চোখ

করোনা ভাইরাস নিয়ে আমাদের মাথা ব্যথার শেষ নেই।এই মরন ব্যধি মোকাবেলায় আমরা যথেস্ট সামর্থ্যের প্রমান এখনও দিতে পারি নি।এজন্য করোনা নিয়ে আমাদের আগ্রহের কমতি নেই।

এই রোগের লক্ষণ কি? এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শরীরে কি কি উপসর্গ দেখা দেয়? নানাবিধ প্রশ্ন আমাদের মনে উকি দিচ্ছে।

এবার প্রচলিত লক্ষণ ছাড়াও নতুন এক লক্ষনের কথা জানাবো।যা এতদিন আমরা ভাবতেও পারিনি।

জ্বর, কাশি, সর্দি, গলা ব্যাথা, শ্বাস কষ্ট, কোনো কিছুর ঘ্রাণ না পাওয়া- করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে এসব উপসর্গ দেখা দেয় বলে এতদিন জানাচ্ছিলেন বিশেষজ্ঞরা। এবার এর সঙ্গে আরও এক উপসর্গ যোগ হয়েছে। সেটা হলো চোখ লাল হয়ে যাওয়া। অর্থাৎ আমাদের দেশের প্রচলিত ভাষায় ‘চোখ ওঠা’ রোগ বলেই আমরা যেটাকে চিনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই লক্ষণেও চেনা যাবে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে।

ওয়াশিংটনের লাইফ কেয়ার সেন্টারের নার্স চেলসি আর্নেস্ট দাবি করেছেন, লাল চোখ হলো কোভিড-১৯ রয়েছে এমন রোগীদের অতি গুরুত্বপূর্ণ ‘একক’ লক্ষণ। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে তিনি বলেছেন, ‘এটা চোখে অ্যালার্জি রয়েছে অনেকটা তাদের মতো। চোখের সাদা অংশ লাল নয়। চোখের লাল ছায়া চোখের বাইরের দিকে প্রকাশ পায়।’

বিশেষজ্ঞরা সম্প্রতি জানিয়েছেন, কনজেক্টিভাইটিস বা চোখ উঠার মতো লক্ষণও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অনেকের মধ্যে দেখা দেয়।
দ্য আমেরিকান একাডেমি অব অপথ্যালমোলজি বলছে, ‘আপনি যদি লাল চোখের কাউকে দেখেন তাহলে আতঙ্কিত হবেন না। কেননা এর অর্থ এই নয় যে ওই ব্যক্তি করোনভাইরাসে আক্রান্ত। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, করোনভাইরাসযুক্ত প্রায় থেকে শতাংশ রোগীর চোখ লাল হওয়ার উপসর্গ দেখা দেয়। সংক্রমিত ব্যক্তির চোখের তরল স্পর্শ করে বা তরল বহনকারী বস্তুগুলো থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।এবং তা খুব দ্রুত।

এজন্য চোখে এলারজি আছে এমন ব্যক্তি খুব সহজেই এই ভারাসে আক্রান্ত হতে পারে।তবে আতংকিত হবার কিছু নেই।করোনা ভাইরাসটি নাক,মুখ,চোখ দিয়েই শরীরের ভেতর প্রবেশ করে।তাই চোখ,মুখ,নাকে হাত লাগানো একদমই উচিৎ নয়।সেই সাথে নিয়মিত সাবান দিতে হাত ধুতে হবে।