গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি আহসান হাবিব বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের এই দুঃসময়ে ছাঁটাই করে এবং প্রাপ্য মজুরি পরিশোধ না করে হাজার-হাজার গার্মেন্টস শ্রমিককে অসহায় অবস্থায় অভুক্ত দিনযাপনের দিকে ঠেলে দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রদত্ত বিবৃতিতে বলেন, লক্ষ-লক্ষ শ্রমিকের রক্ত ঘাম করা শ্রমের মধ্যে দিয়ে গার্মেন্টস শিল্প বাংলাদেশের বৃহৎ শিল্প হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান স্থম্ভে পরিণত হয়েছে। গার্মেন্টস মালিকরা হয়েছে শত কোটি টাকার মালিক।বছরের পর বছর ধরে এই খাতে শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের অজুহাতে সরকারী তহবিল থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা নামে গ্রহণ করেছে তারা। অথচ করোনা ভাইরাস মহামারী থেকে রক্ষা করতে শ্রমিকদের পুষ্টিকর খাদ্য, স্বাস্থ্যরকর বাসস্থান, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিশ্চিত করা যখন ন্যূনতম মানবিক দায়িত্ব সেই সময়েও গার্মেন্টস মালিকরা বিভিন্ন অজুহাতে শ্রমিক ছাঁটাই করছে। অলিখিত লকডাউন পরিস্থিতির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উচ্চমূল্যের এই সময়ে শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ না করে কারখানা ছুঁটি ঘোষণা করায় শ্রমিকদের প্রায় অভূক্ত দিনযাপন করতে হচ্ছে যা শ্রমিককে রক্ষার পরিবর্তে শ্রমিকের স্বাস্থ্যক ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রেণের জন্য প্রদত্ত ছুটি কোন অবস্থায় লে-অফ হিসাবে বিবেচনা করা যাবে না কিংবা প্রাপ্য অন্য কোন ছুটির সাথে সম্বন্বয় করা যাবে না। এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যেকটি শ্রমিকের মার্চ মাসের পূর্ণ মজুরি পরিশোধের দাবি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কারখানা খোলার সাথে সাথে কোন শ্রমিকের অনুপস্থিতির জন্য শাস্তি দেয়া বা ছাঁটাই করা যাবেনা আর সরকারী প্রণোদনা তহবিল থেকে প্রদত্ত মজুরি সরাসরি শ্রমিকের ব্যাংক হিসাবে পাঠাতে হবে।