দিন যত যাচ্ছে ততই ঘনিয়ে আসছে পবিত্র ঈদুল আযহা। যাকে আমরা কুরবানির ঈদও বলে থাকি। অন্যান্য বছরের মত এবারের কুরবানির ঈদেও জেলার বিভিন্ন স্থানে খামারিরা গরু লালন পালনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে এবার অদৃশ্য শত্রু যখন প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস দেশের সকল অর্থনীতি লন্ডভন্ড করে দিচ্ছে এমতাবস্থায় গরুর দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন খামার মালিকরা। যদিও গরু বিক্রিতে খামারিরা ন্যায্য দাম পাবে এমনটাই মনে করছেন জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ। অন্যদিকে, এবার করোনার কারণে কুরবানির পশু কেনা বেচা কমে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকেই। জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের তথ্যমতে, এবার জেলায় ছোট বড় প্রায় আড়াই হাজারেরও অধিক খামার রয়েছে। আর এসব খামারে পর্যাপ্ত পরিমান গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া রয়েছে। বিশেষ করে হাওর ও পাহাড়ি এলাকাগুলোতেই এগুলো বেশি লালন পালন করা হচ্ছে। এছাড়াও স্থানীয় ভাবে লালন পালন করা এসব গরুর মাংস ভেজাল মুক্ত হওয়ায় ক্রেতারা আগ্রহের সাথে কিনবেন বলেও বিশ্বাস তাদের। তবে করোনার এমন পরিস্থিতিতে খামারিরা কতটুকু লাভবান হবেন তাই এখন দেখার বিষয়। এদিকে, কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে অন্য বছর যেখানে ২৫/৩০ দিন আগেই পশু বেচা কেনা শুরু হয়ে যেত এবার সেটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। যদিও করোনার এমন পরিস্থিতিতে বাজার কোন নিয়মে কোথায় কোথায় বসবে তা এখনও নির্ধাণ করেনি জেলা প্রশাসন। একাধিক খামার মালিকরা বলেন, প্রাকৃতিক ঘাসের মাধ্যমে গরু মোটাতাজা করা হয় ঈদে বিক্রির জন্য। কিন্তু এ বছর তেমন কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। একই কথা শোনালেন খামারি আব্দুল আলী, ভিংরাজ মিয়া, সুজন মিয়ারাও। তাদের মতে, একদিকে করোনা অন্যদিকে আবার দেখা দিয়েছে লাম্পি স্কিন ডিজিজ বা এলএসডি রোগের প্রাদুর্ভাব। তাই এ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ‘গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগ নিয়ে আতঙ্ক হওয়ার কিছু নেই। প্রাণিসম্পদ বিভাগ এ রোগ প্রতিরোধে গরু পালনকারীদের পাশে আছে। এছাড়াও খামারীরা তাদের ন্যায্য মূল্য পাবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি’।