কালিগঞ্জে কর্মসৃজন প্রকল্পের টাকাকে কেন্দ্র করে পিতা ও পুত্রের মানোমালিন্যের জেরধরে সৎ মায়ের কুপরিকল্পনায় হত্যার ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি চলতি বছরের মার্চ মাসেই ঘটেছে। থানা ও সরেজমিন সুত্রে জানাগেছে, আরিফুল ইসলাম (১৭) নামে এক কিশোর প্রায় ৬ মাস পুর্বে নিখোঁজ হয়েছে মর্মে পিতা ঈমান আলী কালিগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী করে। বিষয়টি ঘীরে চাম্পাফুল এলাকায় ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে পুত্র ঘাতক ঈমান আলী নিজেকে বাঁচাতে হায়দার আলী নামক প্রতিবেশিকে জানায়। তখনই চাউর হয়ে যায় পুত্র আরিফুল কে হত্যার বিষয়টি। জানাগেছে, ঈমান আলী ও তার ছোট বউ জহুরা খাতুন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে নিজ বাড়ির আঙিনার কোনে দাফন করে।
এর পর থেকে তার সৎ মায়ের পরামর্শে ঈমান আলী ও তার ছোট বউ জহুরা খাতুন ছেলের নিখোঁজ হওয়ার খবর ছড়িয়ে দিতে শুরু করেন। ঘটনাটি কালীগঞ্জ উপজেলার চম্পাফুল ইউনিয়নের চম্পাফুল গ্রামের ঢালী পাড়ায়। চম্পাফুল ইউপির ২ য় ওয়ার্ডের সদস্য সাইলুজ্জামান জানান, আরিফুল ইসলাম প্রায় ছয় মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন। প্রতিবেশীরা তার বাবা ইমান আলী মোড়ল এবং ছোট বউ জহুরা খাতুনকে আরিফুল ইসলামের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বিভ্রান্তিমূলক মন্তব্য করতে থাকে। একপর্যায়ে স্থানীয়রা ঘটনাটি স্থানীয় ১ ম ওয়ার্ডের সদস্য কাইয়ুম গাইনকে জানায়। শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ইউপি সদস্য কাইয়ুম গাইন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ইমান আলী মোড়ল ও সৎমা জোহরা খাতুনকে আরিফুল ইসলাম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেছিল যে চৈত্রমাসের ১ তারিখ রাতে বাড়ির পাশের একটি গাছের ডাল থেকে আত্মহত্যা করেছে তাদের ছেলে।
আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে থানায় আনা হচ্ছে। শনিবার সকালে লাশ উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, নিহত আরিফুল ইসলাম হত্যাকারী ইমান আলী মোড়লের প্রথম স্ত্রীর সন্তান ছিলেন।
শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হুসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ দল অর্ধ-গলিত দেহকে কবর থেকে বের করে দেয়।
দ্রষ্টব্য: আরিফুল 2020 সালের 25 মে থেকে নিখোঁজ ছিল